হতাশা থেকে ইতিহাস—অভিষেক শর্মার ব্যাটে হায়দরাবাদের দুরন্ত জয়

আইপিএল ২০২৫-এ প্রথম পাঁচ ম্যাচে রানের জন্য লড়াই করছিলেন অভিষেক শর্মা। ব্যাটে বড় রান ছিল অধরাই—মাত্র ৫১ রান নিয়ে চলছিল সমালোচনা আর সন্দেহের ঝড়। তবে শনিবার হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সেই সমস্ত প্রশ্নের যেন দাঁতভাঙা জবাব দিলেন অভিষেক।

পাঞ্জাবের ২৪৬ রানের বিশাল চ্যালেঞ্জ সামনে রেখেও চাপ অনুভব করেনি হায়দরাবাদ। কারণ শুরুতেই যেভাবে অভিষেক ও ট্রাভিস হেড ঝড় তোলেন, তাতে ম্যাচের রূপরেখাই বদলে যায়।১২.২ ওভারে প্রথম উইকেটে ওঠে ১৭১ রান। ম্যাচের প্রথমার্ধে অবশ্য আলো ছড়িয়েছিলেন শ্রেয়স আয়ার। দুরন্ত ফর্মে থাকা এই ডানহাতি ব্যাটার এদিন মাত্র ৩৬ বলে ৮২ রান করেন, তাতে ছিল ৬টি ছক্কা ও ৬টি চার। কিন্তু তাঁর এই ইনিংসও ব্যর্থ হলো পাঞ্জাবের জয়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে।হেড ৩৭ বলে ৬৬ রান করে ফিরে গেলেও, অভিষেক ছিলেন শেষ পর্যন্ত।অভিষেক খেললেন এক রোমাঞ্চকর ইনিংস—মাত্র ৫৫ বলে ঝড়ো ১৪১ রান! তাঁর মারকাটারি ব্যাটিংয়ে ছিল ১৪টি চার আর ১০টি ছক্কা, যা কার্যত ম্যাচের রাশ হায়দরাবাদের দিকে টেনে আনে।শেষ পর্যন্ত মাত্র ৯ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। আর ম্যাচ শেষে শুধু হায়দরাবাদ নয়, গোটা ক্রিকেটবিশ্ব এখন বলছে—অভিষেক শর্মা ফিরেছেন, আর ফিরে এসেছেন রাজকীয় ভঙ্গিতে!

তবে ম্যাচের নায়ক হয়েও অভিষেক নিজের কৃতিত্ব একাই নিতে চাননি।ম্যাচ শেষে তিনি জানান, এই দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের মূল প্রেরণা তাঁর বাবা-মা। তিনি বলেন, “ওই ইনিংসটা আসলে ওঁদের জন্য ছিল। তাঁদের ভালোবাসা আর আশীর্বাদ ছাড়া এই দিনটা সম্ভব হতো না।” এমনকি সানরাইজার্স টিম ম্যানেজমেন্টও অভিষেকের বাবা-মায়ের আগমনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন, যা বলে দেয় পুরো দলের সাপোর্ট কতটা গভীর। এছাড়াও অভিষেক জানান, কঠিন সময়েও যাঁরা তাঁকে সমর্থন দিয়েছেন, তাঁদের অবদানই আজকের এই ফিরে আসা। বিশেষ করে তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ভারতের প্রাক্তন অলরাউন্ডার যুবরাজ সিং ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের প্রতি, যাঁরা তাঁকে আত্মবিশ্বাস হারাতে দেননি।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More posts