Delivery Partner Income: দেশের ৪০টি শহরে জ়োমাটো, সুইগি, উবার ও অ্যামাজনের প্রায় ২ হাজারেরও বেশি ডেলিভারি কর্মীর উপরে সমীক্ষা করে এই তথ্য জানা গিয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৬১ শতাংশ কর্মী আয়কর সীমা কত, সে সম্পর্কে জানেন না। যারা আইটিআর ফাইল করেন, তাদের মধ্যেও ৬৬ শতাংশ জিরো রিটার্ন দাখিল করেছেন।
নয়া দিল্লি: চলতি কথায় বলা হয়, চাইলেই হাতে পাওয়া যায় সবকিছু। আক্ষরিক অর্থেই এখন হাতের মুঠোয় দুনিয়া। যা চাইবেন, তা হাতের মুঠোয় থাকা ফোনে অর্ডার করলেই ১০-১৫ মিনিটে বাড়ির দোরগোড়ায় হাজির। জ্যোমাটো সুইগি থেকে ব্লিঙ্কিট, জ়েপটো- হাজারো অ্যাপ আছে। এই অ্যাপগুলি বছরে হাজার হাজার কোটি টাকা উপার্জনও করছে। কিন্তু যারা এই জিনিসপত্র ডেলিভারি করছেন, তারা বছরে কত টাকা উপার্জন করেন, জানেন?
সম্প্রতিই বোরজো নামক একটি সংস্থার সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ভারতে যারা ডেলিভারি কর্মী হিসাবে কাজ করেন, তাদের মধ্যে ৭৭.৬ শতাংশ কর্মীরই বার্ষিক উপার্জন আড়াই লক্ষ টাকার নীচে। অর্থাৎ তাদের দৈনিক আয় ৭০০ টাকারও কম।
দেশের ৪০টি শহরে জ়োমাটো, সুইগি, উবার ও অ্যামাজনের প্রায় ২ হাজারেরও বেশি ডেলিভারি কর্মীর উপরে সমীক্ষা করে এই তথ্য জানা গিয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৬১ শতাংশ কর্মী আয়কর সীমা কত, সে সম্পর্কে জানেন না। যারা আইটিআর ফাইল করেন, তাদের মধ্যেও ৬৬ শতাংশ জিরো রিটার্ন দাখিল করেছেন।
এবার প্রশ্ন উঠতে পারে যে ডেলিভারি কর্মীরা অর্থ সঞ্চয় করেন কীভাবে? সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, মাত্র ২৪ শতাংশ পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড বা পিপিএফে টাকা জমান। টাকার অঙ্ক ১ হাজার থেকে ৩ হাজারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। ২৩ শতাংশ ডেলিভারি কর্মী মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেন। এদের মধ্যে আবার ৭১ শতাংশেরই বিনিয়োগের অঙ্ক মাত্র ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা। ২৬ শতাংশ সরাসরি স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করেন। ডেলিভারি কর্মীদের মধ্যে ৬২ শতাংশের জীবনবিমাও নেই।