বৃদ্ধার খুনের পর দেহের উপর লাফিয়ে ভিডিয়ো রেকর্ড, আত্মীয়কে পাঠালেন অভিযুক্ত তরুণ
নিজস্ব প্রতিবেদন, হায়দরাবাদ: হায়দরাবাদের কুশাইগুড়া এলাকায় ঘটল এক ভয়ঙ্কর অপরাধ। এক বৃদ্ধাকে খুন করে, সেই পাশবিক ঘটনার ভিডিও রেকর্ড করে তা পাঠানো হল নিহতের পরিবারের কাছে—হতবাক পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা।পুলিশে খবর দেওয়া হলে, ঘটনাস্থলে গিয়ে তালা ভেঙে পচাগলা অবস্থায় বৃদ্ধার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, খুনি প্রথমে নির্মমভাবে বৃদ্ধাকে হত্যা করে এবং এরপর তাঁর দেহের উপর লাফিয়ে ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটায়। সেই মর্মান্তিক দৃশ্য ভিডিও করে নিহতের আত্মীয়কে পাঠিয়ে দেয় সে। ভিডিওটি ঘুরে বেড়াতেই ছড়ায় চাঞ্চল্য।অভিযুক্ত মৃতদেহ ঝুলিয়ে পলাতক। যদিও ইতিমধ্যেই সেই ভিডিওর সূত্র ধরেই অভিযুক্তের পরিচয় ও অবস্থান চিহ্নিত করা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনায় অভিযুক্ত তরুণ একজন পরিযায়ী শ্রমিক। তিনি ৭৫ বছর বয়সি বৃদ্ধার ছোট একটি দোকানে কাজ করতেন।রাজস্থানের বাসিন্দা ৭৫ বছরের বৃদ্ধার ওপর দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষুব্ধ ছিলেন অভিযুক্ত তরুণ। পুলিশ জানায়, অভিযুক্তের দাবি, বৃদ্ধা পান থেকে চুন খসলেই তাকে মারধর করতেন। এই সহ্যশক্তি হারিয়ে তাকে খুনের সিদ্ধান্ত নেন তিনি।তদন্তে উঠে এসেছে, গত ১১ এপ্রিল তিনি বৃদ্ধার বাড়িতে যান। সেখানেই আচমকা লোহার রড দিয়ে বৃদ্ধার মাথায় আঘাত করে তাকে খুন করেন। কিন্তু এখানেই থেমে থাকেননি। খুনের পরে মৃতদেহের উপর লাফিয়ে পড়েন, এবং সেই ভয়াবহ দৃশ্য নিজেই ভিডিও রেকর্ড করেন।পুলিশ জানিয়েছে, এরপর তিনি একটি শাড়ি দিয়ে মৃতদেহ বাঁধেন ও সেটিকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে এলাকা থেকে পালিয়ে যান।ভিডিওটি পরে পাঠানো হয় নিহতের আত্মীয়ের কাছে, যা দেখে তাঁরা হতবাক হয়ে যান এবং পুলিশে খবর দেন। সেই ভিডিওই এখন মূল সূত্র হয়ে উঠেছে তদন্তে।আপাতত পুলিশ অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পিছনে ব্যক্তিগত শত্রুতা, মানসিক অস্থিরতা কিংবা অন্য কোনো কারণ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বর্তমানে, অভিযুক্তের বয়স নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, কারণ স্থানীয় সূত্রে খবর, তিনি আদতে নাবালক। তাঁর প্রকৃত বয়স কত, তা জানার জন্য পুলিশ অনুসন্ধান চালাচ্ছে।এদিকে, পুলিশ আরও জানিয়েছে যে অভিযুক্তের খোঁজ পাওয়া গেছে এবং তাকে গ্রেফতার করার প্রক্রিয়া চলছে।
1 comment