“নাসার সতর্কীকরণ: তাজমহলের দ্বিগুণ আকারের বিশাল গ্রহাণু ৭৭,২৮২ কিমি/ঘণ্টা গতিতে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে”

একটি বিশাল গ্রহাণু, ২০১৪ টিএন১৭, বর্তমানে পৃথিবীর দিকে দ্রুত ছুটে আসছে। এর গতি ৭৭,২৮২ কিমি/ঘণ্টা, এবং এর প্রস্থ প্রায় ৫৪০ ফুট (১৬৫ মিটার)। এই গ্রহাণুটি এর আকার এবং সম্ভাব্য বিপদের কারণে আলোচনায় এসেছে। এটি একটি সম্ভাব্য বিপজ্জনক গ্রহাণু হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে, এবং ২৬শে মার্চ, ২০২৫ তারিখে ভারতীয় সময় বিকেল ৫:০৪ মিনিটে এটি পৃথিবী থেকে নিরাপদে প্রায় ৫০ লক্ষ কিলোমিটার দূর দিয়ে চলে যাবে। যদিও এটি পৃথিবী থেকে চাঁদের চেয়ে ১৩ গুণ বেশি দূরে থাকবে।

এই গ্রহাণুটি অ্যাপোলো গ্রুপের সদস্য, যারা এমন কক্ষপথ অনুসরণ করে যা পৃথিবীর পথে চলে। সাধারণত, অধিকাংশ অ্যাপোলো গ্রহাণু নিরাপদে পৃথিবীকে অতিক্রম করে, তবে তাদের গতিপথে সামান্য পরিবর্তন ভবিষ্যতে ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। মহাকর্ষীয় আকর্ষণ অথবা মহাকাশের ধ্বংসাবশেষের সংঘর্ষে তাদের গতিপথ পরিবর্তিত হতে পারে, যা পরবর্তীতে কোনো সম্ভাব্য বিপদের কারণ হতে পারে।

এই আকারের গ্রহাণুর সাথে সংঘর্ষ হলে এর ফলাফল অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে। এটি মারাত্মক ধ্বংসযজ্ঞ সৃষ্টি করতে সক্ষম, যার প্রভাব শত শত পারমাণবিক বোমার সমান শক্তির সমান হতে পারে। এমন সংঘর্ষে পুরো শহর ধ্বংস হয়ে যেতে পারে, ব্যাপক আগুন লেগে যেতে পারে এবং এটি বিশ্বব্যাপী আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণও হতে পারে।

একটি তুলনা হিসেবে, ১৯০৮ সালে সাইবেরিয়ার টুঙ্গুস্কা অঞ্চলে যে বিস্ফোরণ ঘটেছিল, তা ২০০০ বর্গকিলোমিটার বনভূমি সমতল করে দিয়েছিল। সেই বিস্ফোরণটি ২০১৪ টিএন১৭ এর মাত্র অর্ধেক আকারের একটি গ্রহাণুর কারণে হয়েছিল। আজ যদি এই ধরনের একটি ঘটনা কোনও বড় শহরের উপর ঘটে, তবে প্রাণহানির পরিমাণ অত্যন্ত বিশাল হতে পারে।

Post Comment

You May Have Missed