চিন্নাস্বামীতে স্বস্তির হাসি, পরিকল্পনায় ভর করেই জয় বললেন কোহলি
বৃহস্পতিবার চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে জমজমাট ম্যাচে ১১ রানে রাজস্থান রয়্যালসকে হারিয়ে মরশুমে বহু কাঙ্খিত জয় তুলে নিল আরসিবি।টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় রাজস্থান। আর ব্যাট হাতে শুরুতেই জ্বলে ওঠেন বিরাট কোহলি। ক্লাসিক ভঙ্গিতে খেলেন ৭০ রানের অনবদ্য ইনিংস। তাঁর সঙ্গী হন দেবদূত পাদিক্কাল, যিনি তুলে নেন ঝকঝকে হাফসেঞ্চুরি (৫০)। মাঝে ফিলিপ সল্ট দ্রুত ফিরে গেলেও, শেষ দিকে টিম ডেভিড (২৩) ও জীতেশ শর্মা (২০)-র ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে আরসিবির স্কোর গিয়ে দাঁড়ায় ২০৫ রানে।বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে রাজস্থানের শুরুটা অবশ্য খারাপ ছিল না। যশস্বী জয়সওয়াল ৪৯ রান করে ভালো একটা ভিত গড়ে দেন। তবে মিডল অর্ডারে ধারাবাহিকতার অভাব ছিল স্পষ্ট। নীতীশ রানা ও অধিনায়ক রিয়ান পরাগ দু’জনেই কিছুটা চেষ্টা করলেও বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন।শেষ ওভারে ম্যাচ জেতানোর মরিয়া চেষ্টা চালান ধ্রুব জুরেল (৪৭), কিন্তু বেঙ্গালুরুর জস হেজেলউডের নিখুঁত ডেথ ওভার বোলিংয়ের সামনে মাথা নোয়াতে হয় রাজস্থানকে।এই জয়ে কিছুটা আত্মবিশ্বাস ফিরে পেল বেঙ্গালুরু শিবির। একইসঙ্গে প্লে-অফের লড়াইয়ে টিকে থাকার আশাও জিইয়ে রাখল তারা।ফর্মে ফিরেই নেতৃত্বে কোহলি, মরসুমে পঞ্চম অর্ধশতরান ঝলসে উঠল চিন্নাস্বামীতেবড় ম্যাচে বড় ইনিংস—আরসিবির জয়ের মূল কারিগর হয়ে উঠলেন বিরাট কোহলি। ব্যাট হাতে বিরাট কোহলি, দেবদূত পাদিক্কাল এই দুই ক্রিকেটারের জুটি আরসিবির ইনিংসকে মজবুত ভিত দেয়, যা শেষ পর্যন্ত জয়ের ভিত গড়ে দেয়।
ম্যাচ শেষে দলের নেতা বিরাট কোহলি জানান, চিন্নাস্বামীতে সফল হওয়ার জন্য তাঁদের কাছে নির্দিষ্ট একটি রণনীতি ছিল। সেটাই ম্যাচে কাজে দিয়েছে। কোহলির কথায়, “এই মাঠে কীভাবে রান তুলতে হয় এবং প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলতে হয়, সেই নিয়ে আগেই আলোচনা হয়েছিল। আমরা পরিকল্পনা মতো খেলেছি এবং ফলও পেয়েছি।”এই জয়ে যেমন বেঙ্গালুরুর পয়েন্ট টেবিলে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা জাগল, তেমনই দলের আত্মবিশ্বাসেও নতুন করে জোয়ার এল।
Post Comment