Blog

  • বৃদ্ধার খুনের পর দেহের উপর লাফিয়ে ভিডিয়ো রেকর্ড, আত্মীয়কে পাঠালেন অভিযুক্ত তরুণ

    বৃদ্ধার খুনের পর দেহের উপর লাফিয়ে ভিডিয়ো রেকর্ড, আত্মীয়কে পাঠালেন অভিযুক্ত তরুণ

    নিজস্ব প্রতিবেদন, হায়দরাবাদ: হায়দরাবাদের কুশাইগুড়া এলাকায় ঘটল এক ভয়ঙ্কর অপরাধ। এক বৃদ্ধাকে খুন করে, সেই পাশবিক ঘটনার ভিডিও রেকর্ড করে তা পাঠানো হল নিহতের পরিবারের কাছে—হতবাক পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা।পুলিশে খবর দেওয়া হলে, ঘটনাস্থলে গিয়ে তালা ভেঙে পচাগলা অবস্থায় বৃদ্ধার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, খুনি প্রথমে নির্মমভাবে বৃদ্ধাকে হত্যা করে এবং এরপর তাঁর দেহের উপর লাফিয়ে ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটায়। সেই মর্মান্তিক দৃশ্য ভিডিও করে নিহতের আত্মীয়কে পাঠিয়ে দেয় সে। ভিডিওটি ঘুরে বেড়াতেই ছড়ায় চাঞ্চল্য।অভিযুক্ত মৃতদেহ ঝুলিয়ে পলাতক। যদিও ইতিমধ্যেই সেই ভিডিওর সূত্র ধরেই অভিযুক্তের পরিচয় ও অবস্থান চিহ্নিত করা গিয়েছে।

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনায় অভিযুক্ত তরুণ একজন পরিযায়ী শ্রমিক। তিনি ৭৫ বছর বয়সি বৃদ্ধার ছোট একটি দোকানে কাজ করতেন।রাজস্থানের বাসিন্দা ৭৫ বছরের বৃদ্ধার ওপর দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষুব্ধ ছিলেন অভিযুক্ত তরুণ। পুলিশ জানায়, অভিযুক্তের দাবি, বৃদ্ধা পান থেকে চুন খসলেই তাকে মারধর করতেন। এই সহ্যশক্তি হারিয়ে তাকে খুনের সিদ্ধান্ত নেন তিনি।তদন্তে উঠে এসেছে, গত ১১ এপ্রিল তিনি বৃদ্ধার বাড়িতে যান। সেখানেই আচমকা লোহার রড দিয়ে বৃদ্ধার মাথায় আঘাত করে তাকে খুন করেন। কিন্তু এখানেই থেমে থাকেননি। খুনের পরে মৃতদেহের উপর লাফিয়ে পড়েন, এবং সেই ভয়াবহ দৃশ্য নিজেই ভিডিও রেকর্ড করেন।পুলিশ জানিয়েছে, এরপর তিনি একটি শাড়ি দিয়ে মৃতদেহ বাঁধেন ও সেটিকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে এলাকা থেকে পালিয়ে যান।ভিডিওটি পরে পাঠানো হয় নিহতের আত্মীয়ের কাছে, যা দেখে তাঁরা হতবাক হয়ে যান এবং পুলিশে খবর দেন। সেই ভিডিওই এখন মূল সূত্র হয়ে উঠেছে তদন্তে।আপাতত পুলিশ অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।

    পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পিছনে ব্যক্তিগত শত্রুতা, মানসিক অস্থিরতা কিংবা অন্য কোনো কারণ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বর্তমানে, অভিযুক্তের বয়স নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, কারণ স্থানীয় সূত্রে খবর, তিনি আদতে নাবালক। তাঁর প্রকৃত বয়স কত, তা জানার জন্য পুলিশ অনুসন্ধান চালাচ্ছে।এদিকে, পুলিশ আরও জানিয়েছে যে অভিযুক্তের খোঁজ পাওয়া গেছে এবং তাকে গ্রেফতার করার প্রক্রিয়া চলছে।

  • পয়লা বৈশাখে মেঘে ঢাকা শহর, ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনায় বদলাবে আবহাওয়া

    পয়লা বৈশাখে মেঘে ঢাকা শহর, ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনায় বদলাবে আবহাওয়া

    সংবাদদাতা, কলকাতা: নববর্ষের দিনে শহরবাসীর মন প্রশ্নে ভরা—আজ কি বর্ষার আমেজে ভেসে যাবে কলকাতা? আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, আজ, মঙ্গলবার শহর ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, বর্তমানে একটি অক্ষরেখা রাজস্থান থেকে শুরু হয়ে গল্ফ অফ মান্নার পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে, যা মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটক ও তামিলনাড়ুর উপর দিয়ে গেছে। একইসঙ্গে আরেকটি অক্ষরেখা মধ্যপ্রদেশ থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত, যা ঝাড়খণ্ড হয়ে এসেছে। এর প্রভাবেই দক্ষিণবঙ্গের আকাশ আজ মেঘলা এবং কিছু কিছু এলাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রবল।আরও জানা যাচ্ছে, আগামী ১৬ এপ্রিল উত্তর-পশ্চিম ভারতে নতুন করে একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা প্রবেশ করতে চলেছে, যার প্রভাবেও রাজ্যের আবহাওয়ায় পরিবর্তন দেখা যেতে পারে।সুতরাং, পয়লা বৈশাখে বাইরে বেরোনোর আগে ছাতা সঙ্গে রাখতে ভুলবেন না!

    সপ্তাহের শুরুতে শহরের আকাশে বজ্রগর্জনের সঙ্গেই ঝড় বয়ে যায়, যার প্রভাব পড়েছে তাপমাত্রায়ও। সোমবার রাতে হালকা ঠান্ডার অনুভূতি মেলে শহরে। মঙ্গলবার সকালে রেকর্ড করা সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের তুলনায় প্রায় ১.৬ ডিগ্রি কম।গতকাল, সোমবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ১ ডিগ্রি কম বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। যদিও গত ২৪ ঘণ্টায় শহরে বৃষ্টিপাত হয়নি, তবে আকাশ ছিল মেঘলা।আজ, মঙ্গলবারও আকাশে মেঘের আনাগোনা থাকবে বলে পূর্বাভাস। দিনের তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করতে পারে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। তবে বৃষ্টির সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।বসন্তের মাঝেই আবহাওয়ার এই পালাবদল শহরবাসীকে দিয়েছে কিছুটা স্বস্তি—তাপপ্রবাহের জ্বালায় সাময়িক বিরাম।

  • করুন ঝড় তুলেও পারলেন না,জয় মুম্বাইয়ের

    করুন ঝড় তুলেও পারলেন না,জয় মুম্বাইয়ের

    নয়াদিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলায় রবিবার আইপিএলে রুদ্ধশ্বাস এক ম্যাচে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ১২ রানে হারাল দিল্লি ক্যাপিটালসকে। এবারের আসরে দিল্লির এটি প্রথম হার। ফলে টেবিলের শীর্ষস্থান খুইয়ে দ্বিতীয় স্থানে নেমে গেল তারা। অন্যদিকে, এই জয়ে সপ্তম স্থানে উঠে এল মুম্বই।২০৬ রানের বিশাল লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় দিল্লি। প্রথম বলেই ফিরে যান ওপেনার ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক। তবে এরপর ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন করুণ নায়ার। ২২ বলে হাফ সেঞ্চুরি করে, ৪০ বলে ৮৯ রানের এক বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন তিনি। ১২টি চার ও ৫টি ছক্কায় সাজানো তাঁর এই ইনিংস দিল্লির জয়কে একসময় অনেকটাই সম্ভব করে তোলে। কিন্তু করুণ আউট হতেই হঠাৎ ভেঙে পড়ে দিল্লির ব্যাটিং।আভিষেক পড়েলের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ১১৯ রানের জুটি গড়লেও বাকি ব্যাটাররা কার্যত কিছুই করতে পারেননি। শেষ ওভারে তিনটি রান আউট পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে। পুরো দল থেমে যায় ১৯৩ রানে।মুম্বইয়ের পক্ষে দুর্দান্ত বোলিং করেন কর্ণ শর্মা—৩টি উইকেট তুলে নেন মাত্র ৪৬ রানে। সঙ্গ দেন স্যান্টনার, চাহার ও বুমরাহ। ম্যাচের টানটান উত্তেজনা শেষ পর্যন্ত মুম্বইয়ের দিকে হেলে পড়ে।এই জয় হার্দিক পান্ডিয়ার দলের জন্য বড় প্রাপ্তি। আর করুণ নায়ার, যদিও দলকে জেতাতে পারলেন না, তবুও তাঁর ইনিংসটা হয়তো জাতীয় দলের নির্বাচকদের জন্য একটা জোরালো বার্তা হয়ে থাকল।

    মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের জয় হলেও রোহিত শর্মার ফর্ম নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন থেকেই গেল।এদিনও বেট হাতে তেমন কিছু করে উঠতে পারলেন না ‘হিটম্যান’।১২ বলে ১৮ রান করে এলবিডব্লু হন বিপরাজ নিগমের বলে। চলতি আইপিএলে এটিই তাঁর পঞ্চম ইনিংস, কিন্তু রান মাত্র ৫৬। গড় দাঁড়িয়েছে মাত্র ১১.২০, যা রীতিমতো হতাশাজনক। ধারাবাহিক ব্যর্থতায় রোহিতের ফর্ম নিয়ে চর্চা ক্রমেই বাড়ছে।তবে অন্য প্রান্তে দায়িত্ব নেন তরুণ ব্যাটাররা। টস হেরে ব্যাট করতে নামা মুম্বই দলগত প্রচেষ্টায় ২০৫ রানের লড়াকু স্কোর তোলে। তিলক ভার্মা ৩৩ বলে ৫৯ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলে দলকে ভরসা দেন। রায়ান রিকেলটন ৪১, সূর্যকুমার যাদব ৪০ এবং নমন ধীর অপরাজিত ৩৮ রান করে স্কোরবোর্ড সচল রাখেন। যদিও কেউই পঞ্চাশের ঘরে পৌঁছতে পারেননি, কিন্তু দ্রুত রান এবং জুটি গঠনে প্রত্যেকে রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।দিল্লির হয়ে সবচেয়ে সফল ছিলেন কুলদীপ যাদব, যিনি ২৩ রানে ২ উইকেট তুলে নেন। বাকি বোলাররা খরচ করলেন অনেক রান, বিশেষ করে মাঝের ওভারগুলোতে।সবমিলিয়ে মুম্বইয়ের ব্যাটিং ছিল পরিণত ও পরিকল্পিত। তবে রোহিতের ব্যর্থতা যে দলের জন্য ভবিষ্যতে সমস্যা তৈরি করতে পারে, সেটা আর অস্বীকার করার জায়গা নেই।

  • পিএনবি কেলেঙ্কারির অভিযুক্ত মেহুল চোকসি বেলজিয়ামে গ্রেপ্তার

    পিএনবি কেলেঙ্কারির অভিযুক্ত মেহুল চোকসি বেলজিয়ামে গ্রেপ্তার

    অবশেষে পিএনবি কেলেঙ্কারির মূল অভিযুক্ত মেহুল চোকসি ধরা পড়েছেন বেলজিয়ামে। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর, বেলজিয়াম পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই-এর অনুরোধেই এই পদক্ষেপ নেয় বেলজিয়াম কর্তৃপক্ষ। জানা গেছে, আপাতত চোকসিকে স্থানীয় একটি জেলে রাখা হয়েছে এবং তাঁর প্রত্যার্পণের প্রক্রিয়া শুরু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই গ্রেপ্তারি পিএনবি দুর্নীতি মামলায় তদন্তে এক বড় অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।

    সূত্রের খবর, জেল হেফাজত থেকে মুক্তি পেতে শিগগিরই আবেদন জানাতে পারেন মেহুল চোকসি। শোনা যাচ্ছে, নিজের শারীরিক অবস্থার অবনতিকে সামনে রেখে তিনি জামিনের আর্জি জানাতে পারেন। এমনটা হলে, আদালত থেকে সাময়িক ছাড়ও পেয়ে যেতে পারেন তিনি। তবে, ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা চাইছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মেহুল চোকসিকে দেশে ফিরিয়ে এনে আইনের আওতায় আনা হোক। তদন্তকারীদের মতে, পিএনবি কেলেঙ্কারির মূল তথ্য ও যোগসূত্র এখনও তাঁর কাছ থেকেই পাওয়া সম্ভব।

    জানা গেছে, ২০১৮ সালে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক থেকে প্রায় ১৩,৮৫০ কোটি টাকার আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠে মেহুল চোকসির বিরুদ্ধে। অভিযোগ সামনে আসতেই দেশ ছাড়েন এই হিরে ব্যবসায়ী। এরপর দীর্ঘদিন তিনি ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের অ্যান্টিগা ও বারবুডায় আত্মগোপন করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁর অবস্থান চিহ্নিত করা সম্ভব হয় বেলজিয়ামে। সেই খবর পেয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা বেলজিয়াম প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং চোকসিকে আটক করার জন্য অনুরোধ জানায়। বেলজিয়াম কর্তৃপক্ষ ভারতের অনুরোধে সাড়া দিয়েই তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

    এই খবর সামনে আসতেই স্বস্তি প্রকাশ করেছেন বেঙ্গালুরুর এক উদ্যোগপতি, হরিপ্রসাদ এসভি। প্রায় নয় বছর আগে তিনিই প্রথমবার জনসমক্ষে মেহুল চোকসীর আর্থিক অনিয়মের বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন। পিএনবি-র বিপুল অর্থ তছরুপের বিষয়টি হরিপ্রসাদ বিভিন্ন স্তরের কর্তৃপক্ষের নজরে আনেন, এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দফতরেও বিষয়টি চিঠি লিখে জানান। তাঁর এই পদক্ষেপই চোকসীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হওয়ার পথ প্রশস্ত করে, যার জেরে ২০১৮ সালে দেশ ছেড়ে পালান চোকসি। অবশেষে তাঁর গ্রেপ্তারিতে এক দীর্ঘ সংগ্রামের ফল মিলেছে বলে মনে করছেন হরিপ্রসাদ।

    সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় হরিপ্রসাদ এসভি বলেছেন, এই গ্রেপ্তারি শুধু ভারতের জন্য নয়, বরং চোকসীর প্রতারণায় ক্ষতিগ্রস্ত সকলের জন্যই একটি বড় জয়। তিনি জোর দিয়ে বলেন, “ওঁকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভারতে ফিরিয়ে এনে আদালতের মুখোমুখি করানো উচিত।” পাশাপাশি চোকসীর বিরুদ্ধে আর্থিক ক্ষতিপূরণ আদায়ের বিষয়টিও তুলে ধরেন হরিপ্রসাদ। তাঁর মতে, “শুধু গ্রেপ্তার করলেই চলবে না, চোকসী দেশ থেকে যে বিপুল পরিমাণ টাকা সরিয়ে ফেলেছেন, তা বিশ্বের যে প্রান্তেই থাকুক, তা খুঁজে বের করে ফেরত আনতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, ভারত সরকার এই কাজে সফল হবে।”

  • পারিবারিক সম্পত্তির জন্য বোনের চুলের মুঠি ধরে মারধর, ভাইরাল ভিডিও ঘিরে চাঞ্চল্য

    পারিবারিক সম্পত্তির জন্য বোনের চুলের মুঠি ধরে মারধর, ভাইরাল ভিডিও ঘিরে চাঞ্চল্য

    নিজস্ব সংবাদদাতা, বারাসত: পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে চরমে উঠেছে উত্তেজনা। ভাইয়ের হাতে বোনের উপর হামলার অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে। একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, যখন এক মহিলা জানালা বন্ধ করতে গেলে অন্য এক মহিলা তাতে আপত্তি জানান। মুহূর্তের মধ্যে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়—আপত্তি জানানো মহিলাকে চুলের মুঠি ধরে মারধর করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে এক ঘরের মধ্যে, উপস্থিত ছিলেন চারজন মহিলা ও দুই পুরুষ।এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।পরে জানা যায়, আক্রান্ত মহিলা বিষয়টি নিয়ে বারাসত থানায় অভিযোগ জানান। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ অভিযুক্তদের মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতের নাম অঞ্জন ধর, যিনি অভিযোগকারিণী আরিস্মা ধরের ভাই।পুলিশ জানিয়েছে, বাকি অভিযুক্তরা হলেন রুনু হাজারী, চন্দ্রিমা দত্ত, রূপজয়িতা ধর এবং শুভ্রউজ্জ্বল দত্ত। তারা বর্তমানে পলাতক, এবং তাদের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।এই ঘটনার ভিডিওর সত্যতা এখনও যাচাই করা হয়নি, তবে বারাসতে এই ঘটনায় ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে।

    আরিস্মার দাবি, পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই তাঁকে হেনস্থা করা হচ্ছিল। মা রীণা ধরের মৃত্যুর পর তিনি নিজ বাড়িতে এসে থাকতে শুরু করেন। কিন্তু এর পর থেকেই তাঁর উপর মানসিক ও শারীরিক চাপ বাড়তে থাকে।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রীণা ধরের মৃত্যুর পর সম্পত্তির দখল নিয়ে বোনেদের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়। অভিযোগ, অঞ্জন ও তার স্ত্রীর নেতৃত্বে অন্য সদস্যরাও সম্পত্তির কাগজ নিজেদের নামে করতে চাইছিলেন, যার বিরোধিতা করেন আরিস্মা ধর। এর পরেই তাঁর উপর এই হামলা হয় বলে দাবি।আরিস্মার আশঙ্কা, “ওরা চুপিচুপি সব দখল করে নিতে চায়। আমি বাধা দেওয়ায় এখন আমার জীবনও বিপন্ন। পুলিশের কাছে একটাই আবেদন, যেন সবাইকে দ্রুত গ্রেফতার করে কড়া শাস্তি দেওয়া হয়।” পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে, এবং সমস্ত দিক খতিয়ে তদন্ত চলছে।

  • হতাশা থেকে ইতিহাস—অভিষেক শর্মার ব্যাটে হায়দরাবাদের দুরন্ত জয়

    হতাশা থেকে ইতিহাস—অভিষেক শর্মার ব্যাটে হায়দরাবাদের দুরন্ত জয়

    আইপিএল ২০২৫-এ প্রথম পাঁচ ম্যাচে রানের জন্য লড়াই করছিলেন অভিষেক শর্মা। ব্যাটে বড় রান ছিল অধরাই—মাত্র ৫১ রান নিয়ে চলছিল সমালোচনা আর সন্দেহের ঝড়। তবে শনিবার হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সেই সমস্ত প্রশ্নের যেন দাঁতভাঙা জবাব দিলেন অভিষেক।

    পাঞ্জাবের ২৪৬ রানের বিশাল চ্যালেঞ্জ সামনে রেখেও চাপ অনুভব করেনি হায়দরাবাদ। কারণ শুরুতেই যেভাবে অভিষেক ও ট্রাভিস হেড ঝড় তোলেন, তাতে ম্যাচের রূপরেখাই বদলে যায়।১২.২ ওভারে প্রথম উইকেটে ওঠে ১৭১ রান। ম্যাচের প্রথমার্ধে অবশ্য আলো ছড়িয়েছিলেন শ্রেয়স আয়ার। দুরন্ত ফর্মে থাকা এই ডানহাতি ব্যাটার এদিন মাত্র ৩৬ বলে ৮২ রান করেন, তাতে ছিল ৬টি ছক্কা ও ৬টি চার। কিন্তু তাঁর এই ইনিংসও ব্যর্থ হলো পাঞ্জাবের জয়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে।হেড ৩৭ বলে ৬৬ রান করে ফিরে গেলেও, অভিষেক ছিলেন শেষ পর্যন্ত।অভিষেক খেললেন এক রোমাঞ্চকর ইনিংস—মাত্র ৫৫ বলে ঝড়ো ১৪১ রান! তাঁর মারকাটারি ব্যাটিংয়ে ছিল ১৪টি চার আর ১০টি ছক্কা, যা কার্যত ম্যাচের রাশ হায়দরাবাদের দিকে টেনে আনে।শেষ পর্যন্ত মাত্র ৯ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। আর ম্যাচ শেষে শুধু হায়দরাবাদ নয়, গোটা ক্রিকেটবিশ্ব এখন বলছে—অভিষেক শর্মা ফিরেছেন, আর ফিরে এসেছেন রাজকীয় ভঙ্গিতে!

    তবে ম্যাচের নায়ক হয়েও অভিষেক নিজের কৃতিত্ব একাই নিতে চাননি।ম্যাচ শেষে তিনি জানান, এই দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের মূল প্রেরণা তাঁর বাবা-মা। তিনি বলেন, “ওই ইনিংসটা আসলে ওঁদের জন্য ছিল। তাঁদের ভালোবাসা আর আশীর্বাদ ছাড়া এই দিনটা সম্ভব হতো না।” এমনকি সানরাইজার্স টিম ম্যানেজমেন্টও অভিষেকের বাবা-মায়ের আগমনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন, যা বলে দেয় পুরো দলের সাপোর্ট কতটা গভীর। এছাড়াও অভিষেক জানান, কঠিন সময়েও যাঁরা তাঁকে সমর্থন দিয়েছেন, তাঁদের অবদানই আজকের এই ফিরে আসা। বিশেষ করে তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ভারতের প্রাক্তন অলরাউন্ডার যুবরাজ সিং ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের প্রতি, যাঁরা তাঁকে আত্মবিশ্বাস হারাতে দেননি।

  • বিয়ে না মানায় শাস্তি শিকল! চাকরির জন্য লড়া মেয়েকে বন্দি রাখার অভিযোগ, অভিযুক্ত বাবা-মা

    বিয়ে না মানায় শাস্তি শিকল! চাকরির জন্য লড়া মেয়েকে বন্দি রাখার অভিযোগ, অভিযুক্ত বাবা-মা

    উত্তর হাওড়ার ঘুসুড়ি এলাকায় এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘিরে তোলপাড় স্থানীয় মহল। মাত্র ১৯ বছরের তরুণী আরতি সাউ, যিনি কলেজে পড়াশোনার পাশাপাশি একটি চাকরিতেও যুক্ত ছিলেন, স্বপ্ন দেখতেন নিজের পায়ে দাঁড়ানোর। তবে সেই স্বপ্নকেই যেন বন্দি করে রাখা হয়েছিল চার দেওয়ালের ভিতরে।আরতির অভিযোগ, নিজের সিদ্ধান্তে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণেই তাঁর বাবা-মা তাঁকে ঘরে আটকে রাখেন। শুধু তাই নয়, পায়ে শিকল বেঁধে তাকে ঘরবন্দি করে রাখা হয়—অর্থনৈতিক স্বাধীনতা এবং আত্মসম্মানের লড়াই যেন হয়ে ওঠে এক কারাগার।স্থানীয়দের মাধ্যমে বিষয়টি জানাজানি হতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। দীর্ঘ আলোচনার পর অবশেষে উদ্ধার করা হয় কলেজপড়ুয়া সেই তরুণীকে। বর্তমানে পুলিশ পুরো ঘটনার তদন্তে নেমেছে।আরতির কণ্ঠে শোনা গেছে—”আমি শুধু স্বাধীনভাবে নিজের জীবনটা গড়তে চাই। স্বপ্ন দেখতে চেয়েছিলাম, কিন্তু সে স্বপ্নই আজ দোষ হয়ে দাঁড়াল!”

    ১৯ বছরের আরতি (পরিবর্তিত নাম), সাবিত্রী মহাবিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। পড়াশোনার পাশাপাশি জীবনের ভার নিজের কাঁধে তুলে নিতে চেয়েছিলেন তিনি। নিউ ব্যারাকপুরের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজও জুটিয়ে ফেলেছিলেন নিজের চেষ্টায়। শুরু হয়েছিল সেলস ট্রেনিং—যার জন্য প্রতিদিন যাতায়াতে অসুবিধা হওয়ায় সাময়িকভাবে থাকার বন্দোবস্তও করেছিলেন সেখানে।কিন্তু ট্রেনিং শেষ করে বাড়ি ফিরতেই নেমে এল ঝড়। তরুণীর অভিযোগ, বাবা-মা চাইলেন তিনি চাকরি ছেড়ে দিন এবং তাড়াতাড়ি বিয়ে মেনে নেন। এই চাপের বিরুদ্ধে দাঁড়াতেই শুরু হল মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন।আরতির কথায়—”আমি শুধু চাকরি করতে চেয়েছিলাম, তাই বলেই আমাকে মারধর করা হত। একবার বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলাম, কিন্তু ফিরেই আরও বড় ভুল করলাম।”বাড়ি ফেরার পর একঘরে করে দেওয়া হয় তাঁকে। এমনকি ঘর থেকে বেরোতে না পারেন, তাই পায়ে শিকল পরিয়ে রাখা হয়!এই খবরে নড়ে চড়ে বসে পুলিশ প্রশাসন। শুক্রবার, মালিপাচঘরা থানার পুলিশ এসে শিকল বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে তাঁকে। পরে থানায় ডেকে পাঠানো হয় আরতির বাবা-মাকেও।এই ঘটনাটি আমাদের সামনে আবারও এক বড় প্রশ্ন তুলে ধরে—নারী স্বাধীনতা কেবল শব্দের মধ্যেই সীমাবদ্ধ? নিজের সিদ্ধান্তে বাঁচতে চাওয়া কি এতটাই অপরাধ?

  • তালিকা ও ওএমআরশিট প্রকাশিত না হওয়া পর্যন্ত অনড় অবস্থানে চাকরিহারা শিক্ষকরা

    তালিকা ও ওএমআরশিট প্রকাশিত না হওয়া পর্যন্ত অনড় অবস্থানে চাকরিহারা শিক্ষকরা

    দীর্ঘ তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে বৈঠক করার পর কিছুটা স্বস্তি পেলেও পুরোপুরি আশ্বস্ত নন চাকরিচ্যুত শিক্ষকরা। সরকারের আশ্বাসে আস্থার জায়গা তৈরি হলেও, এখনো পর্যন্ত যোগ্য ও অযোগ্যদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ না হওয়ায় তাঁদের মধ্যে অনিশ্চয়তা কাটেনি।এসএসসি ভবনের সামনে চলমান অবস্থান কর্মসূচি আপাতত প্রত্যাহার করা হলেও, আন্দোলন থামছে না। শনিবার থেকে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে নতুন করে অবস্থান শুরু করবেন তাঁরা। তাঁদের বক্তব্য, চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।এক বিক্ষোভকারী শিক্ষকের কথায়, “আমরা সরকারের উপর আস্থা রাখতে চাই, কিন্তু সেটা প্রমাণে সরকারকেও উদ্যোগ নিতে হবে। তালিকা প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের দাবি থেকে একচুলও সরে আসব না।”

    চাকরি হারানো শিক্ষক-শিক্ষিকারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন—যোগ্য এবং অযোগ্য প্রার্থীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ এবং ২২ লক্ষেরও বেশি ওএমআর শিটের প্রতিলিপি (মিরর ইমেজ) ওয়েবসাইটে আপলোড না করা পর্যন্ত তাঁদের আন্দোলন চলতেই থাকবে।তাঁদের কথায়, আন্দোলন এখন আর শুধু শহর কলকাতার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। এসএসসি ভবন থেকে অবস্থান তুলে নেওয়ার পর তাঁরা আগামী শনিবার থেকে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ফের বসবেন অবস্থানে। পাশাপাশি, আগামী ১৬ এপ্রিল থেকে রাজধানী দিল্লির যন্তরমন্তরেও শুরু হতে চলেছে তাঁদের বিক্ষোভ। সেখানেও থাকবেন অন্তত ১৫০ জন চাকরিচ্যুত শিক্ষক ও শিক্ষিকা।এক আন্দোলনকারীর বক্তব্য, “আমরা শুধু নিজেদের ন্যায্য অধিকার চাই। স্বচ্ছতা আর ন্যায়বিচারের দাবিতে লড়াই চলছে, চলবেই। এই বার্তা দিল্লিতেও পৌঁছে দিতে চাই।”আন্দোলনের তীব্রতা এবং ব্যাপ্তি যে বাড়ছে, তা স্পষ্ট। এখন দেখার বিষয়, সরকার কতটা দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানায়।

  • “তাহাব্বুর রানার বিচার: ২৬/১১ হামলার গুরুত্বপূর্ণ নথি হাতে পেল দিল্লি আদালত”

    “তাহাব্বুর রানার বিচার: ২৬/১১ হামলার গুরুত্বপূর্ণ নথি হাতে পেল দিল্লি আদালত”

    নিউ দিল্লি: ২০০৮ সালের মুম্বাই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত তাহাব্বুর হোসেন রানার নাম উঠেছে।যেখানে ১৬৬ জনেরও বেশি নিরীহ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন এবং শত শত মানুষ আহত হয়েছিলেন। তাহাব্বুর হোসেন রানা শিগগিরই ভারতে প্রত্যর্পিত হতে চলেছেন। মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট তার প্রত্যর্পণবিরোধী আবেদন খারিজ করে দেওয়ার পর, তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ভারতের একটি বহু-সংস্থা প্রতিনিধি দল যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছে।

    রানা একজন কানাডিয়ান নাগরিক, যার শিকড় পাকিস্তানে। তিনি হামলার মূল ষড়যন্ত্রী ডেভিড কোলম্যান হেডলির ঘনিষ্ঠ বলে গোয়েন্দা তথ্যসূত্রে জানানো হয়েছে। হেডলি, যিনি একজন মার্কিন নাগরিক, রানার সঙ্গে তার সংযোগ বারবার উঠে এসেছে।বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে রানাকে আনার প্রক্রিয়া চলছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। এই প্রত্যর্পণ মুম্বাই হামলার বিচার প্রক্রিয়ায় এক বড় অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।

    মুম্বাইয়ের জনপ্রিয় চা বিক্রেতা মোহাম্মদ তৌফিক, যিনি ‘ছোটু চাইওয়ালা’ নামে পরিচিত, ২৬/১১ সন্ত্রাসী হামলার সময় নিজের উপস্থিত বুদ্ধি দিয়ে অনেকের প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন। সম্প্রতি তিনি তাহাব্বুর রানার প্রত্যর্পণ প্রসঙ্গে মন্তব্য করে বলেন, “ভারতের উচিত নয় এই ধরনের সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কোনও রকম সহানুভূতিশীল আচরণ করা। আজমল কাসাবের মতো সন্ত্রাসীদের জন্য যেমন বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়েছিল, তা একেবারেই অনুচিত।”তৌফিকের মতে, যারা নিরীহ মানুষের ওপর হামলা চালায়, তাদের জন্য আলাদা কোনও মানবিকতা দেখানোর প্রয়োজন নেই। তিনি আরও বলেন, “যদি প্রমাণ থাকে, তাহলে ২-৩ মাসের মধ্যে ফাঁসির মতো শাস্তি নিশ্চিত করা উচিত।”

  • “শাহরুখ খানের ‘কিং’ ছবিতে কি দীপিকা পাডুকোন?”

    “শাহরুখ খানের ‘কিং’ ছবিতে কি দীপিকা পাডুকোন?”

    ২০০৭ সালের নভেম্বর মাসে, শাহরুখ খান তার তারকাখ্যাতির শীর্ষে ছিলেন এবং ফারাহ খানের ক্লাসিক ছবি ওম শান্তি ওম-এ দীপিকা পাডুকোনকে প্রথমবার বড় পর্দায় উপস্থাপন করেছিলেন। সেখানে দীপিকা অভিনয় করেছিলেন শান্তি প্রিয়া এবং স্যান্ডি চরিত্রে, যা পরবর্তীতে ইতিহাস হয়ে দাঁড়ায়। তার পর থেকে দীপিকার বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অব্যাহতভাবে বেড়েছে।

    এখন, এই দীর্ঘ যাত্রার পর, দীপিকা পাডুকোন আবারও একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অর্জন করতে যাচ্ছেন, যেখানে তিনি তার পরামর্শদাতার ছোট্ট সন্তান সুহানা খানের সঙ্গে কিং ছবিতে অভিনয় করবেন। কিং ছবিটি সুহানার প্রথম থিয়েটারে মুক্তি পেতে যাচ্ছে। শাহরুখ খান অভিনীত এই ছবিটি প্রথমে সুজয় ঘোষ পরিচালিত হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু এখন এটি পরিচালনা করছেন সিদ্ধার্থ আনন্দ, যিনি পাঠান (২০২৩) এবং ফাইটার (২০২৪) ছবির জন্য পরিচিত।

    একজন ভক্ত পরামর্শ দিলেন, “দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমা থেকে কাউকে নিয়ে আসুন,” আরেকজন তাদের মতামত শেয়ার করে বললেন, “আমি দীপিকাকে খুব ভালোবাসি, কিন্তু মনে হচ্ছে এই সিনেমায় তার উপস্থিতি না থাকাই ভালো। আমরা ইতিমধ্যে তাকে পাঠান এবং জওয়ান এ দেখেছি, এবং তিনি পাঠান ২ তেও থাকবেন। তাই দর্শকদের জন্য কিং এ তাকে দেখতে হয়তো একটু একঘেয়ে হতে পারে। আমি বলি, এই চরিত্রের জন্য টাবু, মাধুরী বা কাজলকে নেওয়া উচিত।”