ট্রাম্প শিবিরে চলছে নীরব কৌশল২০০৭ সালের পর থেকে লাগাতার কমছে যুক্তরাষ্ট্রের জন্মহার—এটা এখন দেশটির প্রশাসনের এক বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সংকট সামাল দিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ মহলে বেশ কিছু সাহসী প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে, যার অনেকগুলোই অভূতপূর্ব।যদিও কোন পরিকল্পনা শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়নের মুখ দেখবে, তা এখনও অনিশ্চিত, তবে প্রশাসনের নীতিনির্ধারকরা ইতিমধ্যেই সক্রিয় হয়েছেন। উঠে আসছে বেশ কিছু অভিনব প্রস্তাব, যার লক্ষ্য – দম্পতিদের সন্তান নেওয়ার বিষয়ে উৎসাহিত করা এবং পরিবার গঠনে আর্থিক সহায়তা বাড়ানো।একটি আলোচিত প্রস্তাব অনুযায়ী, আমেরিকার নামী উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ‘ফুলব্রাইট স্কলারশিপ’-এর আসনের একটি অংশ (প্রায় ৩০ শতাংশ) বরাদ্দ হতে পারে তাঁদের জন্য, যারা বিবাহিত বা যাঁদের সন্তান রয়েছে।তবে শুধু শিক্ষা নয়, মায়েদের আর্থিক নিরাপত্তার বিষয়েও ভাবছে কর্তৃপক্ষ। মা হওয়ার পর প্রত্যেক নারীর হাতে প্রায় ৫ হাজার ডলার দেওয়ার পরিকল্পনা আছে, যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৪ লক্ষ টাকার সমান।এছাড়া, স্বাস্থ্য ও সচেতনতা বাড়াতে নারীদের মাসিক চক্র সম্পর্কে সঠিক ধারণা দেওয়ার দিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে, যাতে গর্ভধারণ সংক্রান্ত সিদ্ধান্তে তাঁরা আরও সচেতন ও প্রস্তুত হতে পারেন। প্রসঙ্গত, বিশ্বের অনেক দেশ, যেমন চীন, জন্মহার বাড়াতে নানা ধরনের নীতি ও প্রণোদনার আশ্রয় নিয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এবার হয়তো ট্রাম্পের নেতৃত্বে আমেরিকাও সেই পথেই হাঁটতে চলেছে—তবে আরও রাজনৈতিক রূপে ও বৃহৎ কাঠামোয়।এই পরিকল্পনাগুলো এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে থাকলেও, বিষয়টি ঘিরে নানা মহলে শুরু হয়েছে জোর আলোচনা। অনেকেই বলছেন, এটি হতে পারে ভবিষ্যতের ভোটরাজনীতির অংশও।
Blog
-
বাগুইআটিতে ট্রলিব্যাগে মিলল মহিলার মরদেহ খুনের সন্দেহে তদন্ত শুরু,
কলকাতা, ২২ এপ্রিল ২০২৫: মঙ্গলবার সকালে বাগুইআটির দেশবন্ধুনগরে এক পরিত্যক্ত নালার ধারে পড়ে থাকা কালো রঙের একটি ট্রলিব্যাগ ঘিরে শুরু হয় চাঞ্চল্য। প্রথমে স্থানীয় বাসিন্দাদের চোখে পড়ে অস্বাভাবিকভাবে ফেলে রাখা ব্যাগটি। এর কাছাকাছি থেকে দুর্গন্ধও পেতে শুরু করেন তাঁরা, যা সন্দেহ আরও বাড়িয়ে তোলে।স্থানীয়দের অভিযোগ, ব্যাগটির অবস্থান এবং পরিস্থিতি দেখে তাঁদের সন্দেহ জাগে যে এর ভেতরে কিছু অস্বাভাবিক রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁরা থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে ব্যাগটি খুলতেই চমকে ওঠে—ভেতরে এক অজ্ঞাত মহিলার নিথর দেহ! পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মহিলার মুখে সাদা-বাদামি টেপ জড়ানো ছিল, যা থেকে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে—তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। দেহটি প্রথমে অন্য কোথাও খুন করে, পরে এলাকা নির্জন দেখে ফেলে যাওয়া হয়েছে বলে পুলিশের অনুমান।মৃতার পরিচয় এখনও জানা যায়নি। পুলিশ আশপাশের থানায় নিখোঁজ ডায়েরির খোঁজ নিচ্ছে এবং ফরেনসিক তদন্তের জন্য দেহ পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি, এলাকা ঘিরে তদন্ত চালানো হচ্ছে এবং সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।স্থানীয়দের মধ্যে এই ঘটনা ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। কে এই মহিলা? কেনই বা তাকে এত নির্মমভাবে হত্যা করা হলো—এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে গোটা শহর।
এই ঘটনাটি মনে করিয়ে দিয়েছে কয়েক মাস আগের একটি ভয়াবহ ঘটনা—যেখানে কুমোরটুলি ঘাটের কাছে ধরা পড়েছিল এক মা ও মেয়ে। তাঁদের সঙ্গে থাকা একটি ট্রলিব্যাগ থেকে উদ্ধার হয়েছিল এক মহিলার খণ্ড-বিখণ্ড দেহ।পরে জানা যায়, মৃতা ছিলেন মেয়েটির আত্মীয়া। অভিযোগ অনুযায়ী, পারিবারিক অশান্তির জেরে তাঁকে খুন করে দেহ টুকরো করে ট্রলিতে ভরে গঙ্গায় ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল ওই দুই মহিলা। তবে তাদের সেই পরিকল্পনা সফল হয়নি—গঙ্গার ধারেই পুলিশ তাদের পাকড়াও করে।বর্তমান বাগুইআটির ঘটনার সঙ্গে ওই পুরনো ঘটনার কোনও সংযোগ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী দল। একের পর এক ট্রলিব্যাগে মৃতদেহ উদ্ধারে উদ্বিগ্ন শহরবাসী।ক্রমাগত এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি শহরবাসীর মনে প্রশ্ন তুলছে—নিরাপত্তা কতটা সুরক্ষিত?
-
হঠাৎ বন্যায় বিধ্বস্ত রামবন, মৃত্যু ও ক্ষতির খবরে উদ্বেগ
শ্রীনগর: আচমকা বন্যা এবং প্রবল ভূমিধসে ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের রামবন জেলা। রবিবার সকাল থেকেই টানা বৃষ্টির কারণে জলস্তর হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় ধস নামে ধর্মকুণ্ড এলাকার একাধিক জায়গায়। এখনো পর্যন্ত অন্তত তিনজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে, নিখোঁজ রয়েছেন আরও অনেকে।স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রবল বর্ষণের জেরে চেনাব নদীর জল উপচে পড়ে গ্রামে প্রবেশ করে। ধসের ফলে বহু মানুষ ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন। উদ্ধারকাজে নেমেছে এনডিআরএফ ও স্থানীয় প্রশাসন। বেলা গড়াতেই ক্ষতিগ্রস্ত ঘরের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৫০। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ধস ও বন্যার জেরে আটকে পড়েছেন শতাধিক বাসিন্দা।এদিকে, আবহাওয়া পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ। সতর্কতা হিসেবে আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে শ্রীনগর-জম্মু জাতীয় সড়ক। রামবনের ডেপুটি কমিশনার নাগরিকদের ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন এবং যে কোনও জরুরি প্রয়োজনের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানিয়েছেন।এই মুহূর্তে মূল লক্ষ্য আটকে পড়া মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে আসা এবং পরিস্থিতির আরও অবনতি রোখা। আবহাওয়া ও ভূপ্রাকৃতিক চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন।
-
পণ না মেলায় স্ত্রীর চুল কেটে দিলেন স্বামী,চাঞ্চল্যকর ঘটনা উত্তরপ্রদেশে
উত্তরপ্রদেশে হরদৈ এলাকায় ঘটল এক চাঞ্চল্যকর ও নিন্দনীয় ঘটনা। পণ না মেলায় স্ত্রীকে নানাভাবে হেনস্থা করছিলেন স্বামী। এবার সেই অত্যাচারের মাত্রা ছাড়াল। অভিযোগ, স্ত্রী পার্লারে ভ্রু তুলতে গিয়েছিলেন। সেই খবর পেয়ে পার্লারে পৌঁছে যান স্বামী( রামপ্রতাপ) তিন জন সঙ্গীকে নিয়ে, এবং স্ত্রীর চুল কেটে দেন স্বামী। মেয়ের বাবা রাধাকৃষ্ণ জানান প্রায় এক বছর আগে তাঁর মেয়ের বিয়ে হয় রামপ্রতাপ নামক এক ব্যক্তির সঙ্গে। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই শুরু হয় অশান্তি। অভিযোগ, রামপ্রতাপ বিভিন্ন অজুহাতে নিয়মিত মেয়ের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাচ্ছেন।কখনও ফ্রিজ, কখনও কুলারের মতো দামি জিনিস দাবি করেছেন তিনি। এমনকি নগদ অর্থও চাওয়া হয়েছে। পরিবার এসব দিতে না পারায় মেয়েটির উপর চেপে বসে অত্যাচার। আর এই ঘটনার পেছনেও রয়েছে সেই কারণই। তবে রামপ্রতাপের পরিবারের কিছু সদস্য পাল্টা দাবি করেছেন, স্ত্রীর পার্লারে যাওয়া মেনে নিতে পারেননি রামপ্রতাপ, তাই রাগের বশেই তিনি এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন। ঘটনার পর ক্ষুব্ধ রাধাকৃষ্ণ স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত রামপ্রতাপকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । উভয় পক্ষের বক্তব্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে।ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।
-
‘সর্পদেবতাকে উৎসর্গীকৃত কর্ণাটকের সুব্রহ্মণ্য মন্দির সবচেয়ে ধনী মন্দির, এই বছরে আয় ১৫৫.৯৫ কোটি টাকা’
দক্ষিণ কর্নাটকের দক্ষিণ কন্নড় জেলার এক শান্ত পাহাড়ি জনপদ, সুব্রহ্মণ্য গ্রাম। এখানেই রয়েছে ঐতিহাসিক কুকে সুব্রহ্মণ্য মন্দির, যা কুমারধারা নদীর তীরে, সবুজে ঘেরা পশ্চিমঘাট পর্বতমালার কোলে অবস্থিত। মন্দিরটি দক্ষিন ভারতের ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত, যা দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করে।এই দেবস্থান দেবতা কার্তিকেয় বা মুরুগানকে উৎসর্গ করা হলেও, এখানে তিনি সর্পদেবতার রূপে পূজিত হন। ধর্মবিশ্বাস অনুযায়ী, যাঁরা ‘নাগদোষ’ বা ‘সর্পদোষ’-এ ভুগছেন, তাঁরা এই মন্দিরে এসে নির্দিষ্ট আচার-অনুষ্ঠান পালন করে মুক্তি পাওয়ার আশায় থাকেন। ‘সর্প সংস্কার’ এবং ‘নাগপ্রতিষ্ঠা’র মতো পবিত্র আচার এখানে প্রতিদিন পালিত হয়, যার টানে দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তেরা ছুটে আসেন।প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেন এই মন্দিরে। মন্দিরটি সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১টা ৩০ মিনিট এবং বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকে দর্শনার্থীদের জন্য।
মন্দির শুধু ধর্মীয় গুরুত্বে নয়, আর্থিক দিক থেকেও কর্নাটকের শীর্ষস্থানে রয়েছে। কর্নাটক সরকারের ‘হিন্দু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও দাতব্য তহবিল বিভাগ’-এর আওতায় পরিচালিত এই প্রাচীন মন্দিরে ভক্তদের ঢল যেমন দেখা যায়, তেমনি এর আয়ও রীতিমতো চমকে দেয়।মন্দিরে নিয়মিত ‘সর্পদোষ’ নিবারণ ও অন্যান্য বিশেষ পূজা-আচার পালন করতে আসেন অসংখ্য ভক্ত। মন্দিরের আয়ও মূলত এই অনুষ্ঠানগুলোর মাধ্যমেই হয় বলে জানিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষের এক সূত্র।সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে মন্দিরের আয় পৌঁছেছে ১৫৫.৯৫ কোটি টাকায়, যা আগের বছর ছিল ১৪৬.০১ কোটি।এই ক্রমবর্ধমান আয় মন্দিরের প্রতি মানুষের গভীর বিশ্বাস, আস্থা এবং ভক্তিরই প্রতিফলন।বিপরীতে বার্ষিক ব্যয় ছিল প্রায় ৮০ কোটি টাকা।আয়ের দিক থেকে কর্নাটকের মন্দিরগুলোর তালিকায় শীর্ষে রয়েছে এই সুব্রহ্মণ্য মন্দির। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চামরাজনগরের মালে মহেশ্বর মন্দির, যার আয় হয়েছে ৩১ কোটি টাকা। আর তৃতীয় স্থানে রয়েছে কোল্লুর বিখ্যাত শ্রী মুকাম্বিকা মন্দির, যাদের বাৎসরিক আয় ২০ কোটি টাকার আশেপাশে।এই পরিসংখ্যান শুধু ভক্তির গভীরতা নয়, ধর্মীয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে এসব মন্দিরের গুরুত্বও স্পষ্ট করে তোলে।
-
মেয়ের প্রথম ঝলক শেয়ার করলেন রাহুল -আথিয়া ,জানালেন নামও
রাহুল-আথিয়ার ঘরে এসেছে খুশির খবর, মেয়ের নাম জানিয়ে ছবি শেয়ার ক্রিকেটারের।ক্রিকেট ও বলিউডের এই জনপ্রিয় জুটির জীবনে এসেছে নতুন আনন্দের মুহূর্ত। কেএল রাহুল ও আথিয়া শেট্টি তাঁদের সদ্যোজাত কন্যার প্রথম ঝলক শেয়ার করলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। বিশেষ করে রাহুলের ৩৩তম জন্মদিনে, এই খুশির খবর ভাগ করে নিয়ে ভক্তদের দিলেন সারপ্রাইজ।ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা ছবিতে রাহুল ও আথিয়া তাঁদের মেয়েকে কোলে নিয়ে রয়েছেন। যদিও শিশুর মুখ দেখা যায়নি, কিন্তু ক্যাপশনেই মিলেছে বড় সারপ্রাইজ—মেয়ের নাম। তাঁরা লিখেছেন, “আমাদের মেয়ে, আমাদের পৃথিবী—ইভারা ঈশ্বরের আশীর্বাদ।’ইভারা’ নামটি সংস্কৃত শব্দ থেকে নেওয়া, যার অর্থ ‘ঈশ্বরের উপহার’। এই নাম সামনে আসতেই নেটদুনিয়ায় শুরু হয়েছে শুভেচ্ছার ঢল। বলিউড ও ক্রীড়াজগতের বহু তারকা তাঁদের অভিনন্দন জানিয়েছেন, সঙ্গে সাধারণ মানুষও আনন্দে সামিল হয়েছেন।উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন রাহুল ও আথিয়া। ২০২4 সালের শেষের দিকে জানা যায় আথিয়া গর্ভবতী। এরপর ২৪ মার্চ, মুম্বইয়ের এক হাসপাতালে জন্ম নেয় তাঁদের কন্যা। মেয়ের জন্মের সময় পাশে থাকতে রাহুল আইপিএলের প্রথম ম্যাচেও অংশ নেননি।এই নতুন অধ্যায়ের জন্য রাহুল-আথিয়াকে জানাই অনেক অনেক শুভেচ্ছা!
নিজের নাতনিকে ঘিরে এক আবেগঘন পোস্টে জীবনের আসল মানে বোঝালেন সুনীল শেঠি।সম্প্রতি লিঙ্কডইনে একটি পোস্টে সুনীল শেঠি লেখেন, “জীবন অনেক সময় আমাদের এমন লক্ষ্য ছুঁতে বাধ্য করে, যা হয়তো বাহ্যিকভাবে সফলতার চিহ্ন—ভালো কাজ, বড় অফিস, আরও টাকা, স্বীকৃতি। কিন্তু সত্যি বলতে, সবকিছুর শেষে যে জিনিসটা হৃদয়ে সবচেয়ে গভীর ছাপ ফেলে, সেটা অনেক সময় সবচেয়ে সাধারণ কিছু থেকেই আসে।”তিনি আরও ইঙ্গিত করেন, নাতনির আগমনে তার হৃদয় ভরে উঠেছে এমন এক আনন্দে, যা কোনও চুক্তি বা অর্জন দিতে পারেনি।এই কথাগুলোর মধ্যে ফুটে উঠেছে একজন দাদুর আবেগ, ভালোবাসা আর উপলব্ধি—জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হয়তো একটা ছোট্ট হাসি, ছোট্ট হাতের ছোঁয়া, আর এক নিঃশর্ত ভালবাসা।
-
এসএসসি মামলায় বড় সিদ্ধান্ত, যোগ্য প্রার্থীরা ফের স্কুলে ফিরতে পারবেন: জানাল সুপ্রিম কোর্ট
নয়াদিল্লি, ১৭ এপ্রিল: বহু প্রতীক্ষিত এসএসসি মামলায় আংশিক স্বস্তির খবর এল ‘যোগ্য’ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য। দেশের সর্বোচ্চ আদালত জানিয়ে দিল, যাঁরা কোনও প্রকার দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নন বা নিয়োগে অসঙ্গতির কারণে বাতিলের তালিকায় পড়েননি, তাঁরা আপাতত আবার স্কুলে কাজে ফিরতে পারবেন।রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার ধস আটকাতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সুপ্রিম কোর্টে অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানিয়েছিল। সেই আবেদন বিবেচনা করেই প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়।তবে এ নির্দেশ শুধুমাত্র শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত। গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের জন্য এর কোনও প্রভাব পড়বে না। তাঁদের ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী নির্দেশই বহাল থাকবে।আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, রাজ্য সরকারকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পুনরায় পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। তার আগেই, অর্থাৎ ৩১ মে’র মধ্যে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত হলফনামা আদালতে জমা দিতে হবে।তবে আপাতত স্বস্তি পেলেও শিক্ষাকর্মীদের (অশিক্ষক কর্মী) জন্য আলাদা করে কোনও ঘোষণা এই রায়ে করা হয়নি।এই রায় রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে একটা গুরুত্বপূর্ণ মোড় বলেই মনে করছেন অনেকে। কারণ একসঙ্গে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষাকর্মী ও শিক্ষকের চাকরি চলে গেলে শিক্ষার মান ও পরিকাঠামো ভেঙে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, গত ৩ এপ্রিল প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ ২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেল সম্পূর্ণভাবে বাতিল করে দেয়। দুর্নীতির অভিযোগে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আর সেই সঙ্গে বহাল রাখা হয় কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশও। রায়ের জেরে ২৫,৭৩৫ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি বাতিল হয়। আদালতের নির্দেশ ছিল, তাঁরা ইতিপূর্বে পাওয়া বেতনও ফিরিয়ে দেবেন।সিবিআই তদন্তে বহু প্রার্থীর ‘অযোগ্যতা’ প্রমাণিত হলেও, সেই তালিকায় পড়ে গিয়েছিলেন বেশ কিছু যোগ্য প্রার্থীও। তাঁদের ক্ষেত্রেও চাকরি চলে যাওয়ায়, রাজ্যের শিক্ষা পরিকাঠামো ভেঙে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।এই পরিস্থিতিতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ আদালতে জানায়, রাজ্যের প্রায় ৯,৪৮৭টি মাধ্যমিক ও ৬,৯৫২টি উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষক সঙ্কট চরমে পৌঁছাবে। তাই যাঁরা কোনও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নন, এমন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অন্তত চলতি শিক্ষাবর্ষ অথবা নতুন নিয়োগ না-হওয়া পর্যন্ত কাজে বহাল রাখার আবেদন করা হয়।রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায় স্থিতি ফেরাতে এই সিদ্ধান্ত কতটা কার্যকর হয়, এখন সেদিকেই নজর শিক্ষাক্ষেত্রের অভিজ্ঞ মহলের।
-
ট্রেনে এবার এটিএম! মধ্য রেলের অভিনব উদ্যোগ যাত্রীদের জন্য নতুন স্বস্তির বার্তা
নিজস্ব প্রতিবেদন, নয়াদিল্লি: যাত্রাপথে কখনও হঠাৎ কিছু কেনার দরকার পড়ে, কিন্তু সঙ্গে যদি প্রয়োজনীয় নগদ না থাকে, আর মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় ইউপিআই-ও কাজ না করে—তাহলে? এবার থেকে সেই সমস্যা মিটতে চলেছে রেলযাত্রার মাঝেই। মধ্য রেল চালু করেছে অভিনব পরিষেবা ‘এটিএম অন হুইলস’।প্রায়শই দেখা যায়, যাত্রীরা ট্রেনে উঠে মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকার কারণে ডিজিটাল লেনদেনে সমস্যায় পড়েন। আবার নিরাপত্তার কারণে অনেকেই বেশি নগদ টাকা সঙ্গে রাখতে চান না। এই দুই সমস্যার সমাধান করতে এবার রেলের কামরাতেই বসানো হচ্ছে এটিএম, যেখানে যাত্রীরা সহজেই ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে টাকা তুলতে পারবেন।এই পরিষেবাটি আপাতত পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে পঞ্চবটী এক্সপ্রেসে।যা মহারাষ্ট্রের মনমাড থেকে মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ টার্মিনাস পর্যন্ত যাত্রা করে। যাত্রীদের জন্য এটিএম বসানো হয়েছে ট্রেনের একটি মিনি-প্যান্ট্রি জায়গায়, যেখানে বিশেষ ইনস্টলেশন এরিয়া তৈরি করেছে রেলের মেকানিক্যাল বিভাগ।রেল বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, যাত্রীদের প্রয়োজন এবং নিরাপত্তাকে মাথায় রেখেই এই উদ্যোগ। এই এটিএম ব্যবস্থার ফলে যাত্রাপথে কেনাকাটায় কোনও বাধা থাকছে না, আবার অতিরিক্ত নগদ টাকার ঝুঁকিও এড়ানো যাবে।এই উদ্যোগটি এসেছে নন-ফেয়ার রেভিনিউ (NFR) অর্থাৎ ভাড়া না বাড়িয়ে বিকল্প আয়ের ব্যবস্থার অংশ হিসেবে। ব্যাঙ্ক অব মহারাষ্ট্র ট্রেনটিতে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা দিচ্ছে। জানা গেছে, ২৫ মার্চ রেলের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর ২ এপ্রিল ব্যাঙ্কের তরফে প্রস্তাব জমা পড়ে এবং ১০ এপ্রিল থেকে শুরু হয় এই পরিষেবা।
পশ্চিম রেলের ভুসাওয়াল শাখার ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার (ডিআরএম) ইতি পাণ্ডে জানালেন, পরীক্ষামূলকভাবে চালু করার পর যন্ত্রটির কার্যকারিতা নিয়ে ইতিবাচক সাড়া মিলেছে। তাঁর কথায়, “এই পরিষেবা চালুর ফলে চলন্ত ট্রেনেই যাত্রীরা প্রয়োজনীয় নগদ তুলতে পারছেন, যা এক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। এখন নজর রাখা হচ্ছে এটিএমের পারফরম্যান্সের উপর—যেভাবে কাজ করছে, তাতে ভবিষ্যতের জন্য আশার আলো দেখা যাচ্ছে।”তিনি আরও বলেন, যাত্রী ভাড়া ছাড়াও রেল কীভাবে বিকল্প পথে আয়ের সুযোগ তৈরি করতে পারে, তা নিয়ে আলোচনার মধ্যেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়।
নতুন এই পরিষেবা পেয়ে পঞ্চবটী এক্সপ্রেসের যাত্রীরা ভীষণই সন্তুষ্ট। যাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে এটিএমটি ট্রেনের একটি শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কামরায় স্থাপন করা হয়েছে। তবে রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাকি ২১টি কামরার যাত্রীরাও খুব সহজেই এই এটিএম-এ পৌঁছাতে পারেন। আপাতত পরীক্ষামূলক পর্যায়ে একটিমাত্র ট্রেনে চালু হয়েছে এই পরিষেবা। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, যাত্রীদের সাড়া যদি আশানুরূপ হয়, তাহলে দেশের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেনেও ধাপে ধাপে এই সুবিধা চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।রেলের এই পদক্ষেপ ভবিষ্যতের স্মার্ট রেল ব্যবস্থারই ইঙ্গিত দিচ্ছে—যেখানে যাত্রীরা হবেন আরও বেশি সুরক্ষিত, স্বচ্ছন্দ এবং প্রযুক্তিনির্ভর।
-
ঢাকায় জমি কেলেঙ্কারি মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
ঢাকা, ১৬ এপ্রিল: ঢাকা মেট্রোপলিটন আদালত জমি দুর্নীতি মামলায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ আরও ১৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পে জমি অবৈধভাবে নিজের নামে নেওয়ার অভিযোগে দুদকের (দুর্নীতি দমন কমিশন) দায়ের করা মামলার ভিত্তিতেই এই পদক্ষেপ।মঙ্গলবার আদালত জানায়, দুর্নীতির প্রমাণ হিসাবে দুদকের জমা দেওয়া চার্জশিট খতিয়ে দেখেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এর আগে, রবিবার পূর্বাচল প্রকল্প ঘিরে আরও তিনটি মামলায় শেখ হাসিনা, তাঁর মেয়ে সাইমা ওয়াজেদ পুতুল, বোন শেখ রেহানা, রেহানার সন্তান রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি এবং ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকসহ মোট ৫৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি আদেশ জারি করেছিল একই আদালত।আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী ২৯ এপ্রিলের মধ্যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করার অগ্রগতি রিপোর্ট জমা দিতে হবে। ঢাকার একাধিক থানাকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশে স্থলপথে ভারতীয় সুতো আমদানিতে নিষেধাজ্ঞাএকই দিনে, ভারত থেকে সুতো আমদানির ক্ষেত্রে বড় সিদ্ধান্ত নিল বাংলাদেশ সরকার। মঙ্গলবার এক সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, স্থলপথে ভারতের বিভিন্ন সীমান্ত বন্দর — যেমন বেনাপোল, ভোমরা, সোনা মসজিদ, বাংলাবান্ধা ও বুড়িমারি দিয়ে সুতো আমদানি আপাতত বন্ধ থাকবে।তবে জল ও আকাশপথে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে না। বাংলাদেশের টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন দীর্ঘদিন ধরেই ভারতীয় সস্তা সুতোর কারণে ক্ষতির অভিযোগ তুলে আসছিল। অবশেষে সেই দাবির প্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
-
আফগানিস্তানে কম্পন, প্রভাব দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকায়
নিশীথ রাতের পর যখন আলো ফোটার প্রস্তুতি নিচ্ছে আকাশ, ঠিক তখনই হঠাৎ কেঁপে উঠল রাজধানী দিল্লি এবং আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকা। ঘুমের মধ্যেই ধাক্কা খেল ঘরবাড়ি, কেঁপে উঠল মাটিও। আতঙ্কে অনেকেই বেরিয়ে পড়েন ঘরের বাইরে, আশ্রয় নেন রাস্তায়।বুধবার ভোরবেলা এই ভূমিকম্পের উৎস ছিল আফগানিস্তান। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৬। কম্পনের প্রভাব এতটাই ছিল যে বহু কিলোমিটার দূরে ভারতের উত্তরাঞ্চল পর্যন্ত তা অনুভূত হয়।যদিও এখন পর্যন্ত বড় কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি, তবুও হঠাৎ এই ভূমিকম্পে আতঙ্ক ছড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। বিশেষজ্ঞরা নজর রাখছেন পরিস্থিতির উপরে।
ইউরোপীয়-ভূমধ্যসাগরীয় সিসমোলজিক্যাল সেন্টারের (EMSC) তথ্যানুযায়ী, বুধবার ভোর ৪টা ৪৪ মিনিট নাগাদ আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে মাটি। কম্পনের কেন্দ্র ছিল বাঘনাল এলাকা থেকে প্রায় ১৬৪ কিলোমিটার পূর্বে, ভূপৃষ্ঠ থেকে আনুমানিক ৭৫ কিলোমিটার গভীরে।এই ভূমিকম্পের প্রভাব সীমাবদ্ধ থাকেনি শুধু আফগানিস্তানেই—কম্পনের রেশ এসে পৌঁছায় ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন প্রান্তেও। রাজধানী দিল্লি সহ উত্তর ভারতের বহু জায়গায় তা অনুভূত হয়। সমাজমাধ্যমে অনেকেই সেই কম্পনের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিচ্ছেন, কেউ কেউ আবার আতঙ্কের কথাও তুলে ধরেছেন।
ভূমিকম্প যেন আফগানিস্তানের জন্য এক পরিচিত আতঙ্ক। প্রায়ই কেঁপে ওঠে এই দেশটি, যার ফলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে। ভূগোল বিশেষজ্ঞদের মতে, হিন্দুকুশ পর্বতমালার পাদদেশে অবস্থিত হওয়ায় আফগানিস্তান ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা হিসেবেই পরিচিত। টেকটনিক প্লেটের সংঘর্ষ এলাকায় পড়ায় প্রায়শই কম্পনের শিকার হয় এই দেশটি।আবার আশ্চর্যজনকভাবে, বুধবার আফগানিস্তানে ভূমিকম্প হওয়ার কিছু ঘণ্টা আগেই ফিলিপিন্সেও কাঁপে ভূ-পৃষ্ঠ। সেখানেও রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৬, যা আফগানিস্তানের ভূমিকম্পের সমান। এই ধারাবাহিকতা ফের মনে করিয়ে দিল, প্রকৃতির এই আচমকা থাবার বিরুদ্ধে মানুষ আজও কতটা অসহায়।